শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫

নড়িয়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মাছ লুট,প্রতিবাদ করায় বাড়ীঘর ভাংচুর

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় আদালতের দেয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পুকুরের একলাধিক টাকার মাছ লুট করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এর প্রতিবাদ করায় তার বাড়ীতে বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে বাড়ীঘরে হামলা ও লুটপাট করে স্বর্নালকার সহ প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। এ সময় সন্ত্রাসীদেও হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার নসাশন ইউনিয়নের নলি কান্দি গ্রামের ওসমান হাওলাদেরর ছেলে আবুল কাসেম হাওলাদার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
আবুল কাসেম হওলাদার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নসাশন ইউনিয়নের নলি কান্দি গ্রামের আবুল কাসেম হাওলাদারের ৩৩৯ খতিয়ানের ক তফসিলের ১১২৭ নং দাগে ২৪ শতাংশ, ৩২৫ খতিয়ানের খ তফসিরের ১১২৬ নং দাগে ৭৬ শতাংশে একটি পৈতিক পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরে জোর পূর্বক স্যাচ মেসিন দিয়ে পানি কমাতে থাকে সন্ত্রাসীরা। পরে আবুল কাসেম হাওলাদার বাধা দেয়। বাধা অমান্য করলে তিনি আদালতে গিয়ে মামলা করেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বিজ্ঞ আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। ১৪৪ ধারা অমান্য করে স্থানীয় প্রভাবশালী একই এলাকার নুরুজ্জামান মাদবর, মুনসুর মাদবর, মোতালেফ মাদবর ও মালতকান্দির এলাকার সেলিম আকনসহ ১০/১২ জন মিলে পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যায়। আবুল কাসেম হওলাদার ১৪৪ ধারা জারী করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে আবুল কাসেম হাওলাদারের বাড়ীতে বোমা ফাটিয়ে বাড়ী ঘড় কুপিয়ে স্বর্নলংকারসহ প্রায় ২ লাখ টাকা মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় আবুল কাসেম হাওলাদার(৭০), তার স্ত্রী কমলা বেগম (৬০), ছেলের বউ সুইটি বেগম(৩০), আবিদা বেগম (২৭)সহ ৫ জন মারান্তক আহত হয়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আবুল কাসেম হাওলাদারের স্ত্রী কমলা বেগম অভিযোগ করেন, ১৪৪ ধারা অমান্য করে স্থানীয় প্রভাবশালী একই এলাকার নুরুজ্জামান মাদবর, মুনসুর মাদবর, মোতালেফ মাদবর ও মালতকান্দির এলাকার সেলিম আকনসহ ১০/১২ জন মিলে পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যায়। এর প্রতিবাদ করলে গতকাল রাতে সন্ত্রাসীরা বোমা ফাটিয়ে আমাদের মারধর করে বাড়ী ঘর কুপিয়ে আসবাবপত্র, স্বনলংকার নিয়ে যায়।

মুনসুর মাদবর বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমরা জড়িত না। অন্য ছেলেরা এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
নড়িয়া থানার এস আই জালাল বলেন, হামলার পর আমি ঘটনাস্থালে গিয়েছিলাম। এখনো কোন মামলা হয়নি।