বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫

জাজিরায় টাকা ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে দুই ছিনতাইকারী মহিলা আটক

শরীয়তপুরের জাজিরায় টাকা ছিনতাই করতে গেলে হাতেনাতে দুই ছিনতাইকারী (বেদে) মহিলাকে আটক করেছে ভুক্তভোগী এবং স্থানীয় লোকজন। রবিবার (২৬-ফেব্রুয়ারী) বেলা ১২ টার সময় ব্যাংক মোড় এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় চম্পা বেগম(২৮) নামে এক মহিলা ১ লক্ষ সারে ৪ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে বের হওয়ার পর ব্যাগের চেইন খুলে টাকা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে ব্যাগের মধ্যে হাত দিলেই ভুক্তভোগী চম্পা বেগম টের পেয়ে ছিনতাইকারী একজনের হাত ধরে ফেলে এবং চিৎকার করে। পরে আশেপাশে থাকা লোকজন সহযোগীসহ দু’জনকেই আটক করে।
আটককৃত দুজন হলেন, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার ধুপুরিয়া ইউনিয়নের কলরামপুর গ্রামের আক্কেল আলী বেপারীর মেয়ে শারমিন বেগম(২১) এবং পারভীন বেগম(২০), পারভীন বেগমের স্বামীর নাম আব্দুল্লাহ মন্ডল। তারা জাজিরার কাজীরহাট এলাকার বেদে পল্লীতে বসবাস করতো বলে জানিয়েছেন।
জাজিরার মূলনা ইউনিয়নের কাউয়াদি গ্রামের মো: মামুন হাকিদারের স্ত্রী ভুক্তভোগী চম্পা বেগম জানান, আমি ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বের হলে তারা দুইজন আমার দুইপাশে হাটতে থাকে এবং হঠাৎ আমার ভেনিটি ব্যাগের চেইন খুলে টাকা নিতে ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে দেয়। এসময় আমি একজনের হাত ধরে ফেলি এবং চিৎকার দেই। তখন তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে।
এদিকে ছিনতাইকারী শারমিন বেগম এবং পারভীন বেগমকে আটকের পর ক্ষিপ্ত জনতা ব্যাপক মারধর করে। পরে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রতন বেপারী ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী একটি ক্লাবঘরের মধ্যে নিয়ে রাখেন এবং জাজিরা থানা পুলিশকে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
জাজিরা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রতন বেপারী জানান, আমি এখান দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ দেখি অনেক মানুষ ভীড় করে আছে। পরে আমি জানতে পারি যে, স্থানীয় লোকজন ছিনতাইকারী দুই মহিলাকে আটক করেছে। স্থানীয় কয়েকজনকে নিয়ে আমি তাদের উদ্ধার করে পাশের ক্লাবঘরে নিয়ে রাখি এবং পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জনতার হাতে তারা আটক হয়েছে শুনে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে ভুক্তভোগী চম্পা বেগমসহ ছিনতাইকারী শারমিন বেগম এবং পারভীন বেগমকে থানায় নিয়ে আসি। ভুক্তভোগী চম্পা বেগম একটি এজাহার দিয়েছেন তার ভিত্তিতে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা দিয়ে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া এদের সাথে আরও কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।