
শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কেএম আজাহার হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ৯ জন মেম্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন। এ বিষয়ে এখনও ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি চন্দ্র বিকাশ বলছেন, এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তদন্ত করে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চেয়ারম্যান বলছেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। এর কোন সত্যতা পাওয়া যাবে না। অভিযোগের বিবরণে ও পালং ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার মিনু আক্তার জানান, পালং ইউনিয়নের মেম্বাররা গত বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কেএম আজাহার হোসেনের বিরুদ্ধে হোল্ডিং ট্যাস্ক, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সরকারের নির্ধারিত কার্যক্রম মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করে নিজে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে করে থাকেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কোন মিটিং ডাকেন না। সদস্যরা মিটিং করার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি কোন মিটিং ডাকেনি। আরো উল্লেখ করেছেন যে, তিনি হোল্ডিং ট্যাক্সের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ অনাস্থা প্রস্তাবের স্বাক্ষর করেছেন পালং ইউনয়নের সংরক্ষিত ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের মেম্বার মিনু আকতার, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মেম্বার মালেকা বানু, ৭৮৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বার শিরিন আকতার, ১নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সেলিম শেখ, ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মনসুর পেদা, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মো. ছিদাম মোল্যা, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মকফর উদ্দিন শেখ, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন সরদার, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মিজানুর রহমান খান। এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মকফর উদ্দিন শেখ বলেন, পালং ইউনয়নের চেয়ারম্যান কেএম আজাহার হোসেন হোল্ডিং ট্যাস্ক, বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সরকারের নির্ধারিত সব কার্যক্রম মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করে নিজে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে করে থাকেন। তিনি হোর্ল্ডিং ট্যাক্সের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।