রবিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫

ভূমিকম্পে ধসে গেল ১২৩ বছরের ঐতিহাসিক ইয়েনি মসজিদ

 

শক্তিশালী ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়েছে সিরিয়া ও তুরস্ক। ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫০০০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

শত শত ভবন ধসে পড়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনাও। মালতায়া প্রদেশের ইয়েনি মসজিদ তেমনই একটি স্থাপনা। ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১২৩ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক মসজিদটিও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, মালতিয়া প্রদেশের প্রতীক হয়ে ওঠা মসজিদটি ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি ইলাজিগের সিভরিস জেলায় সংঘটিত ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

সোমবারের প্রথম ভূমিকম্পে ঐতিহাসিক মসজিদের বেশ ক্ষতি হয়। আর সোমবার দ্বিতীয় দফায় ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে মসজিদটি সম্পর্ণরূপে ধসে যায়।

ঐতিহাসিক মসজিদটি নাগরিকদের মধ্যে ‘তেজে মসজিদ’ নামেও পরিচিত ছিল। ইয়েনি মসজিদটি ১৮৯৪ সালের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাওয়া হাকি ইউসুফ মসজিদের জায়গায় নির্মিত হয়েছিল।

এদিকে ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫০০০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশে মোট ৫ হাজার ২১ জন মারা গেছেন। নিহততের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এসোসিয়েট প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, মারা যাওয়াদের মধ্যে তুরস্কের ৩ হাজার ৪১৯ জন ও সিরিয়ায় এক হাজার ৬০২ জন। আহত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ। সিরিয়া ও তুরস্কের উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে হতাহতদের খুঁজে বের করতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবারের এই ভূমিকম্পে শুধু তুরস্কেই ৬০০০ বাড়িঘর ধসে পড়েছে। ২০০র মতো আফটার শক হয়েছে।

এখনও ধ্বংসস্তুপের ভেতরে আর্তকান্না শোনা যাচ্ছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।

মৃত্যুর দোরগোড়া থেকে ভাগ্যজোরে বেঁচে ফেরা সেসব তুর্কি ও সিরীয়রা জানিয়েছেন তাদের ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের গা শিউরে ওঠা বাস্তবতা।