শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫

জাজিরায় আওয়ামী লীগের দু’ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০, আটক ১

 

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। পরে গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

বুধবার সকালে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি, বুধাইর হাট ও খার কান্দির এলাকায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এবং নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় সজিব (২২) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।

জানা যায়, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আ. কুদ্দুস বেপারী ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য আ. জলিল মাদবরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে।

এর মধ্যে গত বছর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তারা দুজনেই প্রার্থী হলে আ. কুদ্দুস বেপারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তাদের বিরোধ আরও বৃদ্ধি পায়। যা নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারিতেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এর ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালেও সংঘর্ষে জড়ায় তাদের সমর্থকরা। কয়েক ঘণ্টা চলা এই সংঘর্ষের সময় অসংখ্য হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

যার মধ্যে আবদুর রশীদ বেপারী (৩২), মিজানুর রহমান বেপারী (৩৩), আনোয়ার হোসেন (৪৪), ছায়েদ ঢালী (৩২), আবদুর রাজ্জাক বেপারী (৩৬), মো: খান (২৩), সেলিম (২৬), আলতাফ হোসেন (৪৩), আক্তার হোসেনসহ (৩২) কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর থাকায় তাদের ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। বাকিরা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আ. জলিল মাদবর বলেন, “নির্বাচনের পর থেকেই আমার সমর্থকদের বাড়িতে থাকতে দেয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে থাকলেও বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেয়াসহ প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

“মঙ্গলবার ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে বুধবার একইভাবে হামলা চালালে আমার লোকজনও এর জবাব দিতে বাধ্য হয়।”

অন্যদিকে চেয়ারম্যান আ. কুদ্দুস বেপারী বলেন, “সকালে হঠাৎ আ. জলিল মাদবরের সমর্থকরা আমার বাড়ি ঘেরাও করে হামলা করে। আমি তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করি।

“বাড়ি-ঘর রক্ষার জন্য যা যা করা লাগে তাই করিছি। তা না করলে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে সব নিয়ে যেতো।”

এদিকে বুধবার সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি এবং টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে জাজিরা থানা পুলিশ। তবে বিভিন্ন জায়গায় আলাদা আলাদা ফোর্স গুলি এবং টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করায় এখনও সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি।

ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সকাল বেলা সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বিলাসপুরে যাই এবং গুলি ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।”

এই ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি