যানবাহনের চাপ বাড়ায় সেই আদিকালে নির্মাণ করা মেয়াদোত্তীর্ণ ১২ ফুট প্রশস্ত সেতুগুলো এমন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে, যা রীতিমতো মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। যে কোনো সময় সেতু ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরই মধ্যে দুই সেতুর একটি কোটাপাড়া সেতুর অভিমুখে সওজ সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেতু দিয়ে ইজিবাইক, যাত্রীবাহী বাস, মালবোঝাই ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ভারী যানবাহন চলাচল করছে হরদম।
কথা বললাম শরীয়তপুর সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি বললেন, কোটাপাড়া সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দিয়েছি। এখন নির্দেশনা না মেনে ভারী যানবাহন চলাচল করলে আমরা কী করতে পারি। জানতে চাইলাম, এই সড়কের দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাট সেতুর কথা। তিনি জানালেন, কোটাপাড়া সেতুর তুলনায় ওই সেতু ঝুঁকিপূর্ণ মনে হচ্ছে না, তাই ওখানে কোনো সতর্কতার দরকার নেই। অথচ সেতু দুটির একি হাল।
এখন কথা হচ্ছে, সেতু ঝুঁকিপূর্ণ তাই সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দায় সারলেন কর্তৃপক্ষ। কোনো ধরনের কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। করা হলো না কোনো বিকল্প ব্যবস্থা।
তাহলে কি শরীয়তপুরের মানুষ কোনো দুর্ঘটনায় জীবন না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে উঠতে তাঁদের এই ভোগান্তির শেষ হবে না?
প্রশ্ন রইল, ঘুমিয়ে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।