
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাদক বিরোধী অভিযানের সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপর হামলা চালিয়েছেন মাদক ব্যবসায়ীরা।
অভিযানকালে নিশ্চিন্তাপুর এলাকার কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায়ী শাহজাহান ও তার ছেলে সজিবকে আটক করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাগলা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী পেচা রনি সঙ্গে সজিবের দ্বন্দ্ব ছিল। নিশ্চিন্তাপুর এলাকায় সোমবার রাতে ডিবির মাদকবিরোধী অভিযান চলছিল। এই সুযোগে পেচা রনি সজিবের পকেটে মাদক দিয়ে টানা হেঁচড়া করতে থাকেন। অভিযানের অংশ হিসাবে একটি কালো কালারের মাইক্রোবাসসহ ডিবি ওই এলাকায় উপস্থিত হয়। তখন পেচা রনি ওই মাইক্রোতে সজিবকে উঠানোর চেষ্টা করে। এ সময় সজিব চিৎকার করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মাইক্রোটি আটক করে কারণ জানতে চান। তখন মাইক্রোতে আসা সাদা পোষাকধারীরা নিজেদের ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, তখন এলাকাবাসী তাদের কাছে জানতে চান মাদকব্যবসায়ী পেচা রনি আপনাদের গাড়িতে সজিবকে কেন উঠালো। এ নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে মাইক্রোবাসের চার পাশের গ্লাস ভাঙচুর করে তাদের মারধর করতে থাকেন। এ সময় থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরপর শাহজাহান ও তার ছেলে সজিবকে আটক করেন।
এ বিষয়ে শাহজাহানের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, ‘সজিব স্থানীয় হাজি মিছির আলী কলেজে এইচএসসিতে পড়ে। দীর্ঘদিন আগে মাদকব্যবসায়ী পেচা রনির আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ফুটবল খেলা নিয়ে সজিবের ঝগড়া হয়। সেই বিরোধের জের ধরে পেচা রনি আমার ছেলে সজিবকে মাদক পকেটে দিয়ে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাবাসী পেচা রনিকে আটক করার চেষ্টা করে। তখন তার সঙ্গে যে ডিবি পুলিশ ছিল বিষয়টি এলাকাবাসী জানতো না। পরে সজিব ও তার বাবাকে আটক করে নিয়ে গেছে ডিবি।’
জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মামুন উর রশিদ বলেন, উপ-পরিদর্শক আতিক মাদক বিরোধী অভিযান চালান। এ সময় কিছু মাদক ব্যবসায়ী তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধরসহ গাড়ি ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে একদল পুলিশসহ আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে কয়েকজনকে মাদকসহ আটক করেছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।