
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেছেন- বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হওয়ার কারণে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আগামী নির্বাচনের আগেই তাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার ব্যবস্থা নেবে- এমন প্রত্যাশা দেশের মানুষের।
সকালে সিলেটের একটি হোটেলে এমপাওয়ারমেন্ট থ্রু ল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি: তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সাথে মতবিনিময়’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচন নিয়ে যারা বাংলাদেশকে ছবক দিচ্ছেন, তারা যেন রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনপূর্ব ও পরবর্তী সহিংসতা বন্ধে বার্তা দেন। গণতান্ত্রিক দেশে এমন সহিংসতা কোনোভাবেই চলতে পারে না। যারা পূর্বে নানা সহিংসতা করেছেন তাদের ভালোভাবে বার্তা দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
এর আগে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি: তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সাথে মতবিনিময়’ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এলকপের প্রিন্সিপাল রিসার্চ কন্সালটেন্ট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এলকপের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর মিজানুর রহমান।
অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ও নাগরিকদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির অপরিহার্যতা তুলে ধরেন।
এছাড়া মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক গাজী সাইফুল হাসান সিলেট বিভাগের চার জেলা হতে আগত স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে একটি উন্মুক্ত আলোচনা সভা পরিচালনা করেন।
এতে অংশ নেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর তরিকুল ইসলাম, ডক্টর বাবলি সিনহা, অ্যাডভোকেট বাপ্পা গোস্বামী, বাপা সিলেটের সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী প্রমুখ। স্থানীয় বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।