
রাজধানীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপির পালটাপালটি সমাবেশ কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ জানায়, দুটি সমাবেশ ঘিরে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড কেউ যেন করতে না পারে, সে জন্য তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। এতে মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে মোট ৫০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
দেখা গেছে, শুক্রবার ভোর ৫টা থেকেই ঢাকাগামী দূরপাল্লা ও দ্রুতগতির বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে সন্দেহজনক মনে হলেই তল্লাশি করা হচ্ছে। বাসে থাকা যাত্রীদের ব্যাগ এবং ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতর ও পেছনে ব্যাকডালা তল্লাশি করতেও দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। এদিকে সমাবেশ থাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ সড়কে পরিবহণের চাপ অনেক কম দেখা গেছে। যার ফলে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে গাড়ির অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন বাসস্ট্যান্ডগুলোতে।
তবে তল্লাশি চললেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান পুলিশ।
নিউমার্কেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে চিটাগাং রোডস্থ শিমরাইল মোড়ে আসেন রমজান আলী। তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, জরুরি কাজে নিউমার্কেট এলাকায় যাওয়া লাগবে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি তেমন কোনো গাড়ি নেই। তাই দীর্ঘক্ষণ ধরে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।
বিল্লাল হোসেন। পেশায় বেসরকারি চাকরিজীবী। তিনি বলেন, টানা দুদিন ছুটি পাওয়ায় পরিবার নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছি। কিন্তু সকাল থেকে তেমন যানবাহন পাচ্ছি না। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ যানবাহন অনেকটাই কম দেখা যাচ্ছে।
চেকপোস্ট বসানোর বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, চেকপোস্ট আমাদের নিয়মিত কাজ। তবে আজ ঢাকায় দুটি দলের পালটাপালটি সমাবেশ রয়েছে। সে জন্য সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো প্রকার নাশকতা না হয়। তার জন্য পুলিশের সতর্ক অবস্থা রয়েছে।
ঢাকাগামী যানবাহন আটকে তল্লাশি করার বিষয়ে তিনি বলেন, রাজধানীর অন্যতম প্রবেশমুখ সড়ক এটি। এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত মাদকের পরিবহণ হয়ে থাকে। তাই নেশাদ্রব্য মাদকের উদ্ধারের লক্ষ্যে কাউকে সন্দেহ মনে হলে তাকে তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।