শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫

আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে জাজিরায় প্রস্তুত চরাঞ্চলের বিশেষ শ্রেণীর ১৪২ টি ঘর

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা অত্যন্ত নদী ভাঙ্গন প্রবন একটি এলাকা। যার ফলে প্রতি বছর এখানে পদ্মা নদীর ব্যাপক ভাঙ্গনে অনেক মানুষ গৃহহীন ও ভূমিহীন হয়ে পড়ছে। জাজিরা উপজেলার মোট ১২ টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার মধ্যে ৬টি তথা কুন্ডেরচর, বিলাসপুর, জাজিরা সদর, বড়কান্দি, পূর্ব নাওডোবা এবং নাওডোবা ইউনিয়ন পদ্মানদী বেষ্টিত। এর মধ্যে কুন্ডেরচরের অধিকাংশ এলাকাই পদ্মানদীর মধ্যে অবস্থিত।

ভূমিহীন ও গৃহহীন এসব মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় চরাঞ্চলের বিশেষ শ্রেণীর ১৪২ টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে জাজিরা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায়। যার মধ্যে সেনেরচরে ৮২ টি, কুন্ডেরচরে ৩০ টি, বিলাসপুরে ১ টি, পূর্বনাওডোবায় ৫ টি, বড়কান্দি ১+পূর্বের ২ মিলে ৩ টি, পালেরচর ৭+পূর্বের ২ মিলে ৯ টি
এবং মূলনায় ৯+পূর্বের ৩ মিলে ১২ টি ঘর রয়েছে।

বুধবার (৯-আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ন্যায় উক্ত ঘরগুলো উদ্বোধন করবেন। এসময় উক্ত ঘর দেয়ার জন্য পূর্ব থেকে যাচাই-বাছাই পূর্বক নির্ধারিত ১৪২ জনকে ঘরের দলিল ও চাবী হস্তান্তর করা হবে। জাজিরা উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো: নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই ঘরগুলো তৈরি করেছি। আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী উক্ত ঘরগুলোর চাবী ও দলিল সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তর করবেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং সাফল্যের একটি ব্যাপার।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: কামরুল হাসান সোহেল জানান, জাজিরা নদীভাঙ্গন প্রবন এলাকা হওয়ায় ইতিমধ্যেই আমরা বিশেষ শ্রেণীর ঘর তৈরীর জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। যার অনুমোদনের ভিত্তিতে বর্তমানে আমরা আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে চরাঞ্চলের এই বিশেষ শ্রেণীর ঘর তৈরি করছি। যার মধ্যে এই দফায় ১৪২টি ঘর প্রস্তুত করা হয়েছে, যা আগামিকাল প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।

জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোবারক আলী শিকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই দফায় ১৪২ জনের জন্য আমরা আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে চরাঞ্চলের বিশেষ শ্রেণীর ঘর প্রস্তুত করেছি। তবে প্রতিবছর পদ্মানদীর ভাঙ্গনের কবলে পরে জাজিরা উপজেলার অনেক মানুষ ভূমিহীন ও গৃহহীন হয়ে পড়ছে। যার ফলে আরও অনেক বেশি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর আমাদের এখানে প্রয়োজন।