
শরীয়তপুর জেলা শহরের শিশু কানন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র হৃদয় খান ওরফে নিবিড় হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিন আসামি। আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তারা বলেছেন, মোটরসাইকেল কেনার টাকা জোগাতে হৃদয়কে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির পরিকল্পনা করেন সিয়াম। সহযোগীদের নিয়ে অপহরণ করার পর হৃদয় চিৎকার করলে তাকে মাথায় আঘাত ও বালিচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। এদিকে হৃদয়কে হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে মঙ্গলবারও বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আদালতে জবানবন্দি দেওয়া তিন আসামি হলেন-সিয়াম, শাকিল গাজী ও ১৫ বছর বয়সি এক কিশোর। ওই ঘটনায় গ্রেফতার শাওন চৌকিদার এখনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। শাকিল ও শাওনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিলে তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। আসামিদের মধ্যে তিনজনকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে ও একজন কিশোর হওয়ায় তাকে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের খিলগাঁও এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী মনির খানের ছেলে হৃদয় খান ওরফে নিবিড়কে ৩১ জুলাই অপহরণ করা হয়। এরপর তাকে হত্যা করে বালিচাপা দেয় দুর্বৃত্তরা। তারপর তার মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চান তারা। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চারজনকে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১ আগস্ট ভোরে খিলগাঁও এলাকার একটি ইটভাটার পাশের একটি নির্জন স্থান থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) শরীয়তপুর সদরের পালং থানার পরিদর্শক শরীফুল ইসলাম বলেন, হৃদয় খান হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের পর রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সিয়ামকে রিমান্ডে নেওয়ার আগেই বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেজবা উদ্দিন খানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তিনি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর রোববার শাকিল গাজী ও ১৫ বছর বয়সি এক কিশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।