
বহু বছরের অপেক্ষার অবসান ঘাটিয়ে পদ্মা নদীর বুক চিড়ে ট্রেনের প্রথম যাত্রা শেষ হলো ৫৪ মিনিটে।
পদ্মায় সড়ক সেতু উদ্বোধনের সোয়া এক বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেল পথ উদ্বোধনকে ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ের মানুষের ছিল উন্মুখ অপেক্ষা।
মঙ্গলবার সড়ক পথে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় গিয়ে রেল চলাচল উদ্বোধন করেন সরকার প্রধান। এরপর বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে তাকে বহনকারী ট্রেনটি ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
১৪ কোচের বিশেষ এই ট্রেনের দুই পাশেই ছিল দুটি ইঞ্জিন। ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেটি বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে সেই ট্রেন পৌঁছে ভাঙ্গা স্টেশনে।
এই যাত্রায় পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে সময় লাগে আট মিনিটের মতো। বেলা ১টা ৭ মিনিটে ট্রেনটি সেতুতে উঠে। সেতু পাড়ি দিয়ে ট্রেনটির ইঞ্জিনের দেখা মেলে ১টা ১৫ মিনিটে।
ভাঙ্গায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শেখ হাসিনা এই পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করলেও ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেসের রুট পাল্টে চলবে পদ্মা সেতু হয়ে।
এই রুট চালুর পর মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলা রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এছাড়া ভাঙ্গা-পাচুরিয়া- রাজবাড়ী সেকশনও পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হবে।
রেল লাইন উদ্বোধনের এই দিনটিতে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও ভাঙ্গায় সমাবেশের আয়োজন রাখা হয় আগেই।
সেখানে ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সেই সমাবেশে সকাল ১০টা থেকেই প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে দলে দলে আসতে থাকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। মিছিল-স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে জনসভাস্থল।
দীর্ঘ ৬ বছর পর ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে স্বাগত জানাতে মহাসড়ক বা অলিগলি সবখানে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তাকে স্বাগত জানিয়ে তুলে ধরা হয়েছে সরকারের উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বদলে যাওয়ার চিত্র।