
শরীয়তপুরে পদ্মা পাড়ে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে নির্মিত ‘‘জয়বাংলা এভিনিউ’র” ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ ছিল পদ্মা পাড়ের জনপদে। ৫০ বছরের পদ্মার ভাঙন কবলিত শরীয়তপুরের নড়িয়া এখন দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র। ১ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মার ডান তীর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প স্বস্থি এনেছে পদ্মা পাড়ের এই জনপদে। নির্মাণ কাজ শেষে সোমবার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রমত্তা পদ্মার আগ্রাসনে বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয় নড়িয়া। সরকারি হিসেবেই গৃহহীন হয়ে পড়ে সাড়ে ৫ হাজার পরিবার। ভাঙন রোধে ২০১৮ সালের নভেম্বরে শুরু হয় ১০.২০ কিলোমিটার পদ্মার ডান তীর রক্ষা প্রকল্প। স্রোত নিয়ন্ত্রণে মাঝ পদ্মায় খনন করা হয় ১১ কিলোমিটার ডুবোচর। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বাঁধের উপর নির্মাণ করা হয়েছে ৪ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে জয় বাংলা এভিনিউ। এলইডি বাতির জমকালো আলো, বসার বেঞ্চ, হাতিরঝিলের আদলে দৃষ্টিনন্দন সেতু ভাঙন কবলিত নড়িয়াকে পরিণত করেছে পর্যটন কেন্দ্রে। পর্যটকদের কেন্দ্র করে পদ্মা পাড়ে গড়ে ওঠা ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ভাঙন কবলিতদের। বাধাকে কেন্দ্র করে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন ভাঙনের কবলিতরা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে বাঁধটি নির্মাণের ফলে রক্ষা পারে ১১ হাজার ৩০০ ঘড়বাড়ি ও ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার সম্পদ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, পদ্মা ডানতীর রক্ষা বাধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় নড়িয়াতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে নদী ভাঙ্গন। আর জয়বাংলা এভিনিউ নামে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে তৈরি করায় ভীড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। পুরো এলাকাটি পরিনত হয়েছে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে।