শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০, ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫

জাজিরার কাজীরহাটে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, ভাংচুর ও লুটপাট

 

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাটে প্রকাশ্যে দিনে-দুপুরে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২ টার সময় কাজীরহাট বাজারের পাইকারি মুদি ব্যবসায়ী মিন্টু খালাসির দোকানে এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
এ সময় হামলাকারীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মিন্টু খালাসির মামাতো ভাই লাভলু মোল্লা(৩০) গুরুতর আহত হয়। এ ছাড়া হামলাকারীরা মিন্টু খালাসির “মেসার্স সুলতান এন্ড সন্স” নামক দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মিন্টু খালাসি।
আহত লাভলু মোল্লাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপেক্সে ভর্তি করেন। এরপর অবস্থার অবনতি হলে দ্রæত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে।
দোকানদার মিন্টু খালাসি বলেন, আমি দুপুরে এনআরবি ব্যাংক থেকে ২ লক্ষ, স্থানীয় আরেকজন ব্যবসায়ী দুলাল মাদবর থেকে আনা হয়েছে আরো ৬ লক্ষ টাকা। এবং সারাদিনে বিক্রি করা প্রায় ২ লক্ষসহ মোট প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্যাসে রেখে দোকানদারি করছিলাম।
হঠাৎ স্থানীয় কামরুল মোল্লা, নান্নু মোল্লা, কালু মোল্লা, রবিন মোল্লা, জুলহাস মোল্লা এবং হামেদ মোল্লাসহ ১০-১২ জন ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ এসে আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় আমার মামাতো ভাইকে কুপিয়ে জখম করে, নগদ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায়।
তবে এই ঘটনায় হামলাকারী কারও সাথেই তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় মিলন মোল্লা বলেন, হঠাৎ করেই হামলাকারীরা এসে মিন্টু খালাসির দোকানে আক্রমণ করে পিস্তল দিয়ে গুলি করে এবং চাইনিজ কুড়ালসহ বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় লাভলু মোল্লা আহত হয়ে যায় এবং মিন্টু খালাসি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে ডাকাতরা ক্যাশ থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ডুবিসায়বর বন্দর কাজীরহাট কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক টেপা বলেন, মিন্টু খালাসির দোকানে হামলার বিষয়টি আমরা শুনেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। প্রশাসন তাদের মত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জাজিরা থানার পুলিশ-পরিদর্শক মো: সুজন হক বলেন, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানদার এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি এবং আলামত জব্দ করি।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে সাথে-সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে প্রাথমিকভাবে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।