
তীব্র তাপদাহের মধ্যে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে শরীয়তপুরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং। দীর্ঘদিন ধরে জেলায় অসহনীয় লোডশেডিং চলছে।
শরীয়তপুর পৌর এলাকায় ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। বাকি ছয় উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ করে শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
পুরো জেলায় গ্রাহক রয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৫২ হাজার। শুধু শরীয়তপুর পৌরসভায় গ্রাহক সংখ্যা ২৪ হাজার ৮ শত।
গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে নড়িয়া সদর, সিলঙ্গর, বাংলা বাজার, মুলফৎগঞ্জ, ভোজেশ্বর, বিঝারী, চামটা, ঘড়িসার, জাজিরা, ডামুড্যা, গোসাইরহাট, ভেদরগঞ্জ, সখিপুর ও শরীয়তপুর শহরের মারাত্মক লোডশেডিং চলছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লোডশেডিং টানা চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা চলছে। গরমে শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি বাড়ছে। কখনো বিদ্যুৎ থাকলেও ভোল্টেজ খুব কম। বাসাবাড়ির ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংসসহ নানা জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে।
স্কুল ও কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। ঈদকে সানে রেখে আত্মীয়-স্বজন আসছেন গ্রামে। তাদের ভোগান্তি আরও বেশি।
পল্লী বিদ্যুতের সেবা নিয়েও গ্রাহকদের রয়েছে অভিযোগের পাহাড়।
নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক জলিল শেখ, খলিল ঘরামী, আলী মকদম বলেন, এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিলে ২/৩ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। পরবর্তীতে আবার এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। তাছাড়া বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার জ্বলে গেলে অভিযোগ দেওয়ার পরও ঠিক করতে আসে না। আসলেও এর বিনিময় তাদের টাকা দিতে হয়।
শরীয়তপুর পৌরসভার গ্রাহক জলিল সরদার, গনি তালকদার, হাফিজ খান বলেন, তীব্র গরমের কারণে এমনিতেই খুব খারাপ অবস্থা। তার উপর ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন।
শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জুলফিকার রহমান বলেন, “তীব্র দাবদাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে, যার ফলে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। শীঘ্র বিদ্যুৎতের উৎপাদন বেড়ে যাবে। তারপর আর লোডশেডিং থাকবে না।”
ওজোপাডিকো শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দিন বলেন, “লোডশেডিং কারো হাতে নাই। আমাদের করার কিছু নেই। এটি উপর মহলের বিষয়।”